আব্দুল কাইয়ুম_নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ কসবা গ্রামের সুফি মিয়া হত্যা মামলায় একই গ্রামের মৃত মইজ উদ্দিনের পুত্র আনকার উদ্দিন সাথে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৫ ডিসেম্বর (২০০৯ ইং) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের কৃত মামলায় নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ কসবা গ্রামের এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপর ১০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ মিনহাজ মুুনীরা এ রায় ঘোষণা করেন।আদালতের পেশকার ফজলু মিয়া জানান, নবীনগঞ্জ উপজলার কসবা গ্রামের বাসিন্দা মৃত মজই উল্লার পুত্র আনকার উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত আসামীরা হল, নবীনগঞ্জ উপজলার কসবা গ্রামের বাসিন্দা মৃত মজই উল্লার পুত্র ইলাক উদ্দিন, একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত মজই উল্লার পুত্র আনছার উদ্দিন, মৃত মজই উল্লার পুত্র নুরুল হক, মৃত ভুতু মিয়া পুত্র মো: আব্দুস ছোবহান, মো: আব্দুস ছোবহানের স্ত্রী সাইদা বেগম, জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সাইরুন বেগম, পূর্ব কসবা গ্রামের বাসিন্দা মো: আব্দুস ছোবহানের কন্যা সািহনা বেগম ও উপজেলার মধ্যমত গ্রামের বাসিন্দা আদর উল্লার পত্র মোঃ মাইন উদ্দিন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগঞ্জ উপজেলার কসবা গ্রামে রিফা বেগমের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশি উল্লেখিত আসামীদোর জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের সংর্ষ হয়। এ সময় আসামী আনকার উদ্দিনের আঘাতে রিফার পিতা ছুক মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর রিফা বেগম বাদী হয়ে নবীনগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন থানার তৎকালীন এসআই সুব্রত সরকার। তিনি ২০১০ সালে আদালতে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আনকার উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং বাকি আসামীদোর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী পলাতক ছিলেন। তবে অন্যারা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন- এই রায়ে আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।