জসিম উদ্দিন চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের গাতাবলা দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কমিটির বিরুদ্ধে দানকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি অবৈধভাবে বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিভাবক প্রতিনিধি ও এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৭ সালে রইছ উল্লা নামের জমি দাতার পক্ষ থেকে দলিলের মাধ্যমে মাদ্রাসার নামে জমিটি দান করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সাবেক সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার টুলু, সুপার আবু তাহের, সদস্য আলী হোসেন সহ কয়েকজন কমিটির প্রভাবে ওই জমি ব্যক্তিগত স্বার্থে বিক্রি করে দেন।এ সংক্রান্ত একাধিক রেজুলেশনে জমি বিক্রির অনুমতি প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও অভিযোগকারীদের দাবি— বাংলাদেশের প্রচলিত কোনো আইন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দানকৃত জমি বিক্রি করার ক্ষমতা নেই। এটি সরকারি সম্পদের অপব্যবহার ও অর্থ আত্মসাতের শামিল বলেও অভিযোগে বলা হয়।
অভিভাবক প্রতিনিধি দুলাল মিয়া, খয়ার মিয়া, মদরিছ মিয়াসহ এলাকাবাসীরা অভিযোগে জানান, “মাদ্রাসার নাম ভাঙিয়ে দানকৃত সম্পদ আত্মসাতের চেষ্টা চলছে। নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে কোনো কমিটি যদি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, তা বেআইনি হিসেবে গণ্য হবে।তারা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি, সুপার ও সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছেন এলাকাবাসীর অভিযোগ— মাদ্রাসার জমি বিক্রির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের চেষ্টা চলছে। তাই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, সরকারি বিধি অনুযায়ী এমপিওভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের জমি বিক্রি করতে হলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পূর্বানুমতি নিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অনুমোদন ছাড়াই ২৩ শতক জমি মাত্র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২৩ লাখ টাকা জানা যায়, ওই জমি দান করেছিলেন স্থানীয় দাতা রইছ উল্লা তিনি ১৯৭৭ সালে আসলা মৌজা, জেএল এসএ ১৩২, আরএসএ ১৩৬, এসএ ১০২, খতিয়ান ১৭৬, মৌয়াজি ২৩ শতক জমি মাদ্রাসার নামে দান করেছিলেন।এ অভিযোগে এলাকাবাসী দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।