এনাম উদ্দিন সামী সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ আজ গভীর শোক ও তীব্র ক্ষোভে কাতর। নিষ্ঠুরভাবে খুন হওয়া সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন শুধু একজন পেশাদার সংবাদকর্মী ছিলেন না—তিনি ছিলেন একজন সাহসী কণ্ঠস্বর, যিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অটল ছিলেন। তার মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করা আমাদের সংবাদপেশাকে চরমভাবে আহত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কাঠামোর ওপর বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।বাংলাদেশ প্রেসক্লাব এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ড কোনো একক ঘটনা নয়—এটি একটি ভয়ংকর বার্তা, যা সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে চায়, যা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নচেৎ বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া একটি সুস্থ গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। তাই সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ মানে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।আমরা মরহুম তুহিনের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং দাবি করছি—সরকারি তহবিল থেকে অবিলম্বে তাদের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা হোক।
আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই ঘটনার প্রতি সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তার নেতৃত্বে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত হোক—এটাই আজ সাংবাদিক সমাজের প্রত্যাশা।
এই বিবৃতির মাধ্যমে দেশের সব গণমাধ্যমকর্মী, সম্পাদক, সংবাদ সংস্থা ও নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানাচ্ছি—চুপ করে না থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে। আজ তুহিন, কাল হয়তো আমাদেরই এরকম মৃত্যুর শিকার হতে হবে।