প্রশাসনের সু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মূল ঘটনা কে আড়াল করতেই প্রকাশ করা হয়েছে মনগড়া সংবাদ ও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ,গত ৬ ই জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকায়”নবীগঞ্জে সংঘর্ষ ও দোকানপাটে হামলা নৈপত্য লুটপাটকারী চক্রের তৎপরতা ” যুবলীগ সভাপতি আশাহীদ আলীকে ঘিরে শুরু হয় উত্তেজনা প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত। আমাকে আইন এবং সমাজের চোখে অপরাধী বানানোর জন্য এমন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে সেলিম তালুকদার গং,আমি প্রকৃত ঘটনা উপস্থাপন করলাম,প্রেসক্লাবের আংশিক ও সাংবাদিক বাদলের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ নিয়ে সেলিম তালুকদার সাথে বিরোধ চলছিল! সেলিম ও আলাউদ্দিন গংরা বিষয়টি ভিন্নখাতে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে সংঘর্ষ দোকান ভাংচুর আগুন লুটপাট খুনখারাপি করিয়াছে। আমি তো ফিশারম্যান সম্প্রদায়ের লোক নই। এদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ ও ছিল না। ওরা মানুষ হিসেবে মানবিক দায়িত্ব পালন করছে। আমার বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে ইনাতগঞ্জ ১৪ কিলোমিটার দূরে। উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনীতি সংগঠনে দায়িত্বে রয়েছি এবং দায়িত্ব পালন করে আসছি। প্রসঙ্গ আমার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়াকে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে আমি ১ লাখ টাকা নিয়েছি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। খসরু মিয়া ও ফারুক মিয়াকে আমি চিনি না। তদন্ত করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।
মূলত প্রেসক্লাবের অভ্যন্তরীণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায়ই আমার সঙ্গে সেলিমের কথা কাটাকাটি হতো। ক্লাবের নির্বাহী সদস্য হিসেবে ভবন উন্নয়নের হিসাব নিকাশসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। এই দ্বন্দ্ব থেকেই সেলিম তার পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মনগড়া মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে এবং ৩ জুলাই তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে আমার ওপর অর্তকিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমি দৌড়ে মার্কেটের ভিতরে প্রাণের ভয়ে দোকানে ভেতর প্রবেশ করে আশ্রয় নেই পরেও সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে বেধড়ক মারধোর করে।আমার আত্মচিৎকার শুনে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসায় আমি প্রানে রক্ষা পাই নতুবা সেলিম বাহিনীর লোকজন আমাকে প্রাণে হত্যা করতো। মার্কেটের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ মানবিক দ্বায়িত্ব পালন করে একজন মানুষের জীবন বাচালো এটা কি তাঁদের অপরাধ??
আজ আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা, কাল অন্যদের উপর হবেনা কি বিশ্বাস? ইউনিয়নের মানুষগুলোর উপর সন্ত্রাসী হামলা হলে নিরাপত্তা দিবে কে? মানুষ হিসাবে একটা প্রাণ বাচানো তো অপরাধ নয়। “সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যা ও পুলিশ এসল্ট মামলায় আমাকে প্রধান আসামি ও মরহুম ফারুক মিয়া খুনের ৪ নম্বর সহ অসংখ্য নিরীহ মানুষ কে আসামি করা হয়েছে।৩ জুলাই সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জুলাই গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন জীবন এর ডাকে সারা দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় থানায় আসি। নবীগঞ্জ থানার গোল টেবিলে নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: কামরুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ চৌধুরী গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন জীবন সহ সামাজিক সংগঠন সাংবাদিক সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতির মাধ্যমে শালিসির সিদ্ধান্ত কে আমি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার অভিযোগ প্রত্যাহার করে দুজন আসামী কে সেলিম তালুকদার ও আলাউদ্দিন গংরা মুছলেখা দিয়ে নিয়ে যান। আমি ও চলে যাই। পরে জানতে পারি ওই দিনই আইনের প্রতি বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে আনমনু গ্রামের সাধারণ মানুষ সহ ব্যাবসায়ীদের উপর আক্রমণ চালায় সেলিম ও আলাউদ্দিন বাহিনী গংরা। তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী এসে নিমন্ত্রণ করেন। ৫/৬ জুলাই নিরব থাকার পর ৭ জুলাই তিমিরপুর সহ আশে পাশে গ্রামের মানুষ কে ভুল তথ্য দিয়ে মাইকিং করে সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে নবীগঞ্জ শহরে তান্ডব লিলা শুরু করে দোকান ভাংচুর লুটপাট আগুন খুন খারাপি ঘটনা ঘটায়। আইন ও সালিশ অমান্যকারী সেলিম তালুকদার ও আলাউদ্দিন গংরা দীর্ঘদিন যাবত দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকাকে পুজি করে মানুষের মানহানি এবং আত্মীয় স্বজনরা অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
৪ জুলাই ২০২৫ সেলিম তালুকদারের সহযোগী সাংবাদিক দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার ষ্টাফ রিপোটার এম এ বাছিত হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে মিথ্যাচার করে মানহানিকর পোস্ট করে আমি নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নই। আমি ২০২৩ সালে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের একাংশের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ২৩ ও ২৪ সালের সিলেকশন কমিটি বিলুপ্ত করে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছি। হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সহ উপজেলার সবাই জানেন, ডকুমেন্টস আমার কাছে সংরক্ষণ আছে।সামপ্রদায়িক হামলার পরিকল্পনাকারী এম এ বাছিত সেলিম তালুকদার কে সহযোগিতা করতেই দৈনিক মানব জমিন ও দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ ফেসইবুকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকা ৩ জুলাই থেকে ৭ জুলাই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে আসছে! আমি নবীগঞ্জের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
-:প্রতিবাদকারীঃ-
সাংবাদিক আশাহীদ আলী আশা সাবেক সভাপতি ও বর্তমান নির্বাহী সদস্য নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব। সিনিয়র সহ সভাপতি উপজেলা গন অধিকার পরিষদ।