জসিম উদ্দিন_হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গত ১৩ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখে দৈনিক হবিগঞ্জের বাণীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে “শহরের মেয়ে বিয়ের প্রলোভনে ২৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সুন্দরী তরুণী নাঈমা আক্তার” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিবেশিত হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা না জেনেই একটি নির্দোষ ও অসহায় মেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে, যার পেছনে প্রতিপক্ষের কু-চক্রী মহলের গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।সংবাদে প্রকাশিত তথ্য কোনোভাবেই সত্য নয় এবং সংবাদ প্রকাশে কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই কিংবা প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। একজন মেয়ের ছবি অনুমতি ব্যতীত সংবাদে প্রকাশ করে তার ব্যক্তিগত সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে, যা আইনত দণ্ডনীয় এবং নৈতিকভাবেও গর্হিত।
সংবাদ প্রকাশের পর মানসিক চাপে পড়ে নাঈমা আক্তার আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করে। তার ভাই, ফ্রান্স প্রবাসী সাইফুল মিয়া, তাকে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় যোগাযোগ করতে বললেও প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে হবিগঞ্জ থানায় যথাযথ সহায়তা মেলেনি। এমনকি রাত ১টার পর একটি মেয়ের বাসায় গিয়ে হুমকি প্রদান করা হয়, যেখানে আইন অনুযায়ী মহিলা পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও তা মানা হয়নি।উল্লেখ্য, বাদী আব্দুর রউফের ভাই, ফ্রান্স প্রবাসী নূর আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে ২ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে হবিগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং ৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে সাইবার ট্রাইব্যুনাল, সিলেট-এ ২৯৯/২৪ নাম্বারে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলার চার মাস পর প্রতিশোধমূলক উদ্দেশ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে মিথ্যা অভিযোগে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় (সি. আর ১৯৩/২৫)।
আমার মেয়ে নাইমা আক্তারের সঙ্গে বিয়ের আলোচনার পর ফ্রান্স থেকে দীর্ঘদিন দেশে না আসায় আমরা জার্মান প্রবাসী এম. এ. ওয়াহিদ সুহেলের সঙ্গে নাইমার বিবাহ সম্পন্ন করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নূর আল আমিন সামাজিকভাবে আমার মেয়েকে হয়রানি করতে থাকে। তার ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা প্রেমের গল্পসহ ছবি পোস্ট করে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়, যার ফলে আমার মেয়ের বৈবাহিক জীবন হুমকির মুখে পড়ে।আমাদের কাছে নূর আল আমিনের অডিও স্বীকারোক্তি রয়েছে, যেখানে সে নিজেই স্বীকার করেছে যে, কোনো টাকা পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এছাড়া ফ্রান্সে অবস্থানরত তার ভাই এবং রুমমেটদের সাথেও আমাদের এই সংক্রান্ত অডিও প্রমাণ রয়েছে। তবুও, সেসব প্রমাণ উপেক্ষা করে শুধুমাত্র আমাদের সুনাম নষ্ট করতে একটি অসত্য মামলা এবং অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
আইনের মূল নীতিই হল—”স্বাক্ষ্য ও প্রমাণ না থাকলে আসামী নির্দোষ বিবেচিত হবে।” অথচ সংবাদে একতরফাভাবে আমাদের পরিবারকে দোষারোপ করা হয়েছে।পরিশেষে, আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সম্মানিত সাংবাদিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি_প্রতিবাদকারী শরিফুন্নেছা মোহনপুর আ/এ, হবিগঞ্জ।