নিজস্ব প্রতিনিধি_মাওলানা আব্দুল মুকিতঃ
আধ্যাতিক মহান সাধক, সুলতানে বাঙ্গাল, বাংলার শ্রেষ্ট ওলী হযরত শাহজালাল মুজারদে ইয়ামনী (রহঃ) এর ৭০৬ তম পবিত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষে আউলিয়া ফেডারেশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে বাংলার আধ্যাতিক রাজধানী সিলেট শহরের প্রানকেন্দ্র কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ এর শহীদ সোলেমান হলে গত ১০ ই মে ২০২৫ ইং রোজ শনিবার বিকাল ৪.০০ ঘটিকার সময় হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে মাওলানা আব্দুল আজিজ ও কবি মাওলানা আব্দুল মুকিত পাঞ্জাতনীর যৌথ পরিচালনায় ও আন্তর্জাতিক ইসলামীক স্কলার,আউলিয়া ফেডারেশন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মাওলানা খাজা মঈন উদ্দিন আহমদ জালালাবাদীর সভাপতিত্বে শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মনজু আহমেদ। নাতে রাসুল পরিবেশন করেন মোঃ কাওছার আহমদ ও শানে শাহজালাল পরিবেশন করেন মোঃ আব্দুর রহিম।
প্রথমেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মাওলানা খাজা মঈনুদ্দিন আহমদ জালালাবাদী। সভায় উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন হযরত শাহজালাল (রহঃ) দরগাহ শরীফের সম্মানিত মোতাওয়াল্লী সরেকউম ফতেহ উল্লাহ আল আমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর এর এসিল্যান্ড, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলীমুল্লাহ খান।তিনি তার বক্তব্যে বলেন- হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর মাজার শরীফের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে ও আগামী ৭০৬তম ওরশ শরীফ পালনে সিলেট প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রয়োজন এবং যা যা করণীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এতে যথেষ্ট ভূমিকা পালনে সচেষ্ট থাকবে । মাজার শরীফের পবিত্রতা রক্ষায় এবং আপনাদের যেকোন প্রয়োজনে আমাদের সহযোগীতা থাকবে ইনশাল্লাহ। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড.মাওলানা এমদাদুল হক। মাসিক শাহজালাল পত্রিকার সম্পাদক রুহুল ফারুক জালালী শাজলী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা কর্মকর্তা ও শাহজালাল (রহঃ) গবেষক ড. তুতিউর রহমান শাহজালাল (রহঃ)এর সঙ্গী-অনুসারীগণের মধ্য থেকে অনেক পীর দরবেশ এবং তাদের বংশধরগন সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস শুরু করেন এবং ইসলাম প্রচারের কাজে মনোনিবেশ করেন। ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি মানুষের আত্মশুদ্ধি সামাজিক সাম্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করেন। বাংলাদেশের মানুষের মনের ভিতর তার প্রতি এত আবেগ যে তার নামে শত শত প্রতিষ্ঠান সংগঠন ও বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এই মহান সাধক তার বর্ণাঢ্য জীবনে ইলামের যে খেদমত ও আদর্শ রেখে গেছেন তা কৃতজ্ঞতার সহিত আজও মানুষ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন। সারা বছরই রাত দিন সব সময় অসংখ্য ভক্তবৃন্দ তার মাজার জিয়ারত করে প্রশান্তি লাভ করে। বিশেষ করে প্রতি বছর যে বার্ষিক ওরশ শরীফ পালন করা হয় এতে শুধু বাংলাদেশ নয় দেশ বিদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে।আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা আব্দুল আহাদ জিহাদী, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন ডা.মাওলানা ছাফিউর রহমান ছাহেবজাদায়ে বালাউঠি, অধ্যক্ষ মাওলানা আহমদ আলী হেলালী, অধ্যক্ষ মাওলানা জালাল উদ্দিন আলক্বাদরী, আলোড়ন সৃষ্টিকারী বক্তা মাওলানা মুফতি নেছার উদ্দিন, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা খাজা নোমান শাহ, হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর শানে স্বরচিত কবিতা আবৃতি করেন, দৈনিক ইনাতগঞ্জের ডাক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক, শোহাদায়ে কারবালা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান কবি মাওলানা আব্দুল মুকিত পাঞ্জাতনী, হাফেজ মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, এম এ ওয়াকিল তালুকদার, সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ বাহাদুর, শেখ জালাল উদ্দিন ফরিদ, কাজী আরিফ, হারুন চিশতী, দেলোয়ার হুসেন জালালী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: কাপ্তান হোসেন, , মম ট্রাভেল্স এর স্বত্বাধীকারী আলী হাসান শাহিন, সৈয়দ মওদুদ আহমদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ক্বারী শাহাজুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, হযরত শাহজালাল (রহঃ) দরগাহ শরীফের সেক্রেটারী সামুন মাহমুদ খান, মাওলানা হাফিজ আনিসুজ্জামান খান, ইঞ্জিঃ শাহ আলম ভূইয়া, পীর হোসাইন মোহাম্মদ অভিশাহ, যুবদল নেতা শাফরোজ আহমদ মুন্না ও আউলিয়া ফেডারেশন বাংলাদেশ এর সর্বস্থরের নেতৃবৃন্দ সহ বৃহত্তর সিলেটের অনেক পীর মাশায়েখ, উলামায়ে কেরাম, শিক্ষাবীদ, সাহিত্যিক, সামাজিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সহ হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর অসংখ্য আশেকান ও ভক্তবৃন্দ।