সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি পাভেল আহমদঃ
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী’র খরিদাকৃত জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে কল্যাণী গ্রামের রামচরণ দাসের পুত্র মৃদুল দাস ও বাদল দাসের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, রবীন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে রাসেন্দ্র চন্দ্র সরকার বিগত ০৪/০৯/২০০৫ ইং তারিখে ভুলানগর মৌজার দাগ নং ১০০ ও ১০১ দাগের শশীলাল দাস ও সুনীল চন্দ্র গংদের নিকট হইতে রাসেন্দ্র দাস এ জায়গা খরিদ করেন। কিন্তু ভূমিখেকো মৃদুল ও বাদল পাশ্ববর্তী জায়গার মালিক হওয়াতে অন্যায় ভাবে ভোগ দখল করে আসছেন তাহারা। এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন মৃদুল ও বাদল পতিত আওয়ামী সরকারের দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্বীপ রায়ের আশীর্বাদ পুষ্ট ছিলেন। প্রদ্বীপ রায়ের ক্ষমতার বলে অন্যের খরিদাকৃত জায়গা দখল করে বসে আছেন। এই জায়গা নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য সালিশ ব্যাক্তিত্বদের নিয়ে বিচার বসলে সালিসের কথা অমান্যে করে এলাকাবাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পেশী শক্তির বলে প্রায় ২০ শতক জায়গা অন্যায় ভাবে দখল করে বসে আছেন মৃদুল ও বাদল। এই জায়গায় নিয়ে অনেকবার ভোক্তভোগী রাসেন্দ্র আইনের আশ্রয় নিলেও প্রদ্বীপ রায়ের দোহাই দিয়ে মৃদুল ও বাদল প্রশাসনের কাছে ভুল তথ্য প্রদান করে রাসেন্দ্রকে বিতাড়িত ও করেছেন। মৃদুল ও বাদলের উপর মানুষের জায়গা দখলের আরো একাধিক ভূমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। বিগত পতিত আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে প্রদ্বীপ রায়ের প্রভাব খাটিয়ে তারা অনেকের জায়গা দখল করেছেন।
ভুক্তভোগী রাসেন্দ্র চন্দ্র সরকার জানান,এই জায়গা আমি প্রাপ্য টাকা দিয়ে খরিদ করে রেখেছি। আমি খরিদা সুত্রে জায়গার মালিক এলাকার অনেকেই জানেন।আমার কাছে জায়গার সবগুলো কাগজপত্র আছে। এনিয়ে বিচার সালিশ বসলে মৃদুল ও বাদল বিচার অমান্য করে আমার জায়গার জোরপূর্বক দখল করে রেখে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মৃদুল ও বাদল দাশ বলেন এটা আমাদের মামাদের জায়গা, আমরা তাদের কোন জায়গা দখল করি নাই। এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সুত্রধর বলেন আমরা কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।